Monday, August 10, 2020

সম্মোহন বিদ্যা – রাজেন্দ্রনাথ রুদ্র

 

সম্মোহন বিদ্যা – প্রফেসর রাজেন্দ্রনাথ রুদ্র। সম্মোহন বিদ্যা ও শাখা বিজ্ঞান সমূহ হাতে-কলমে শিখিবার সরল উপদেশমালা। চতুর্থ সংস্করণ। জুন – ১৯৩৫।

যে বিদ্যা বলে মানুষকে সম্মোহিত বা বশীভূত করিয়া তাহার দ্বারা অভীপিত কাৰ্য্য সকল সম্পাদন করা যায়, উহাকে “সম্মোহন বিজ্ঞান” বা “সম্মোহন বিদ্যা” (Hypnotism or Mesmerism) বলে। এই বিদ্যা ব্যবহারিক মনোবিজ্ঞানের (Applied Psychology) একটি সমুন্নত শাখা।

সংবেদনার যে একটি বিশেষ অবস্থায় উপনীত হইয়া মোহিত, সম্মোহিত বা বশীভূত ব্যক্তি সম্মোহনবিদের আদিষ্ট কাৰ্য সকল সম্পাদন করে, উহাকে “মোহিত” বা “সমোহিতাবস্থা” (hypnosis or mesmeric state) বলা যায়। এই অবস্থা নিদ্রার সাহায্যে বা উহা ব্যতিরেকে, এক ব্যক্তি কর্তৃক অপর এক ব্যক্তির কিম্বা তাহার নিজের উপর উৎপাদিত হইয়া থাকে। এই অবস্থায় মোহিত ব্যক্তির “বহির্মন” (Objective Mind) অল্পাধিক পরিমাণে সুপ্ত, নিশ্চেষ্ট বা নিষ্ক্রিয়াবস্থায় সম্মোহন বিদ্যা অবস্থান করে, আর “অন্তর্মন” (Subjective Mind) তাহার স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পাদনে রত থাকে।* (*চতুর্থ পাঠ দ্রষ্টব্য)

যে ব্যক্তি মানুষকে সম্মোহন করিতে (hypnotize or mes merise) সমর্থ তাহাকে “সম্মোহনবিৎ” (hypnotist, mesmerist or operator.) বলে। যে ব্যক্তি সর্ব সাধারণে কেবল সম্মোহন ক্রীড়া (hypnotic or mesmeric demonstrations) copata fant বেড়ায়, তাহাকে “হিপ্নোটাইজার” বা “মেস্‌মেরাইজার” (hypnotiser or mesmeriser) বলে; আর যে বৈজ্ঞানিক ভাবে এই বিদ্যার চর্চা করে, তাহাকে “হিপ্নোটিষ্ট” বা “মেস্‌মেরিষ্ট” (hypnotist or mesmerist) বলিয়া অভিহিত করা হয়।

হিপ্নোটিজম, মেস্‌মেরিজম ও ম্যানিমেল মাগ্নেটিজম (Hypnotism, Mesmerism and Animal Magnetism) : হিপ্নোটিজম হইতে মেসমেরিজম এবং মেসমেরিজম হইতে য্যানিমেল ম্যাগ্নেটিজম প্রাচীনতর বিদ্যা। পাশ্চাত্য দেশে এই বিদ্যা প্রথম “য়্যানিমেল ম্যাগ্নেটিজ্‌ম” নামে পরিচিত ছিল; পরে ইহা “মেস্‌মেরিজম” এবং তৎপরে আবার “হিপ্নোটিজ্‌ম” নামে আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে। বর্তমান সময়ে এই বিদ্যা “মেস্‌মেরিজুম” ও “হিপ্নোটিজম” নামে সর্বত্র পরিচিত।

সমগ্র বইটি পড়তে Download Link

No comments:

Post a Comment